পোস্টগুলি

জানুয়ারী, ২০১৮ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

কল্পিত শৈব

ছবি
কল্পিত কারা শৈব্যরা নাকি বৈষ্ণবরা? উগ্রপন্থী শৈব্যরা বৈষ্ণবগণের “কল্পিত বৈষ্ণব” কথাটি বলে থাকে, তারা কোনরুপ শাস্ত্র প্রমাণ ছাড়ায় “কল্পিত বৈষ্ণব” বলে বৈষ্ণবদের উপহাস করতে থাকে। শাস্ত্রের কোথায় বৈষ্ণবদের কল্পিত বলা হয়েছে প্রমাণ চাইলে তারা দেয় না। কারণ, এই " কল্পিত বৈষ্ণব " বাক্যকে তারা হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করতে চায়। তারা এরুপ বৈষ্ণবদের কটাক্ষ করতে নানা অপপ্রচার চালায়।  অবশ্য এদের বৈষ্ণব বিদ্বেষী একটি পেজ আছে, সেটি থেকে বৈষ্ণব ➡️এবার দেখা যাক বৈষ্ণবরা কল্পিত নাকি বৈদিক? শুক্লযজুর্বেদ ৫ম অধ্যায় ২১ নং মন্ত্রে বলা হয়েছে,    “ বিষ্ণো রবাটমসি বিষ্ণোঃ শ্মপ্ত্রে স্থো বিষ্ণোঃ স্যূরসি বিষ্ণোধ্রুর্বোহসি। বৈষ্ণবমসি বিষ্ণবে ত্বা॥” অর্থ্যাৎ, হে শুদ্ধসত্ত্ব, তুমি বিষ্ণুর ললাট-স্থানীয় হও। হে জ্ঞান ও ভক্তি, তোমরা ভগবানের সাথে আমার সৎকর্মের সংযোজক হও। হে ভক্তি, তুমি বিষ্ণুর বন্ধনের কারণ হও। হে শুদ্ধসত্ত্ব, তুমি বিষ্ণুর(সর্বব্যাপক ভগবানের) সত্যরুপ হও, তুমি বিষ্ণু-সম্বন্ধীয়(বৈষ্ণব), বিষ্ণুর প্রীতির জন্য তোমাকে নিযুক্ত করছি॥ বেদে স্পষ্টভাবে বৈষ্ণবকে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে। শুক...

বেশধারী শৈব (পর্ব ২)

ছবি
 কৃষ্ণই পরমেশ্বর এবং সব কিছুর উৎস।       ইদানিং বেশ কিছু শৈবগণ অজ্ঞতার বশবর্তী হয়ে কৃষ্ণ নিন্দা করতে ব্যস্ত। তাদের প্রতিটি বাক্যের মাধ্যমে কৃষ্ণ নিন্দা লক্ষ্য করা যায়। এসকল শৈবগণ তাদের নিজস্ব পোস্ট এবং বাক্য দ্বারা কৃষ্ণ এবং কৃষ্ণ ভক্তগণের অবমাননা করে যাচ্ছে।       এসকল শৈবগণ কখনও শুদ্ধ শিব ভক্ত নয়। যারা শুদ্ধ এবং প্রকৃত শিব ভক্ত তারা কখনই কৃষ্ণ নিন্দা করে না। এরা নানা কৌশল অবলম্বন করে কৃষ্ণ নিন্দা করছে।       পূর্বের পোস্টে লিখেছি, কৃষ্ণ নিন্দা করলে নরক প্রাপ্তি ঘটবে এবং বৈষ্ণব নিন্দা বড় অপরাধ যার ক্ষমা নাই। কিন্তু এসকল শৈবগণ কৃষ্ণ নিন্দা ও বৈষ্ণব নিন্দাতে পরম তৃপ্তি লাভ করে। সুতরাং, এদের মুক্তি নাই। এদের নরক প্রাপ্তি ব্যতীত অন্য উপায় নাই।      এসকল অসাধু শৈবগণ কৃষ্ণ নিন্দা করে সকল দেবতা এবং শৈবগণের আরাধ্য শিবকেও নিন্দা করছে সেই ভেদবুদ্ধিহীন তারা। শ্রীভগবান  শ্রীমদ্ভগবদ্গীতার দশম অধ্যায়ের ২৩ নং শ্লোকে  বলছেন,          ...

বেশধারী শৈব (পর্ব ১)

ছবি
কিছু বেশধারী শৈবগণের আবির্ভাব ঘটেছে। তাদের মূল লক্ষ্য যেন তেন উপায়ে বৈষ্ণব নির্মূল করা। এজন্য তারা প্রখর বৈষ্ণব নিন্দার জোয়ার তুলেছে এবং তারা এতই ভন্ড যে, বৈষ্ণবগণের আরাধ্যকেও অপমান করতে পিছুপা হন না। শৈব অর্থ যিনি শিব ভক্ত। শিব ভক্ত অবশ্যই শ্রদ্ধেয়। কিন্তু যেসকল শৈব বেশধারী বৈষ্ণব নিন্দা ও আরাধ্য পরমেশ্বর শ্রীকৃষ্ণ নিন্দা করছেন, তারা কখনই শুদ্ধ ভক্ত হতে পারে না। এদের  উদ্দেশ্য বৈষ্ণবগণের কৃষ্ণ ভক্তিতে আঘাত হানা। তাদের ভক্তি নষ্ট করা। এসকল শৈব বেশধারী বৈষ্ণব অপরাধ করছেন অনবরত। শাস্ত্রে কৃষ্ণ নিন্দুকদের অসুর বলে সম্বোধন করা হয়েছে। যেহেতু এরা শৈব বেশধারী এবং কৃষ্ণ নিন্দুক, সেহেতু এদেরকে শৈব+অসুর = শৈবাসুর বলে সম্বোধন করলে ভূল কিছু হবে না। ★যারা কৃষ্ণের প্রতি আত্মসমর্পণ করে না তারা অসুর প্রকৃতির, মহাভারতে (অশ্বমেধপর্ব/অর্জুনের জীবনার্থ/৪০) বলা হয়েছে ,"কৃষ্ণে প্রীতি যে না করে, সে জন অসুর শরীর ধরিয়া ক্লেশ পাইবে প্রচুর ৷" ★যারা অসুর প্রকৃতির তারা চায় না কেউ কৃষ্ণভক্ত হোক, তারা ছলে বলে চেষ্টা করে কিভাবে সবাইকে কৃষ্ণ ভক্তি থেকে দূরে রাখা যায় ৷ তাদের উদ...