বেশধারী শৈব (পর্ব ১)
কিছু বেশধারী শৈবগণের আবির্ভাব ঘটেছে। তাদের মূল লক্ষ্য যেন তেন উপায়ে বৈষ্ণব নির্মূল করা। এজন্য তারা প্রখর বৈষ্ণব নিন্দার জোয়ার তুলেছে এবং তারা এতই ভন্ড যে, বৈষ্ণবগণের আরাধ্যকেও অপমান করতে পিছুপা হন না।
শৈব অর্থ যিনি শিব ভক্ত। শিব ভক্ত অবশ্যই শ্রদ্ধেয়। কিন্তু যেসকল শৈব বেশধারী বৈষ্ণব নিন্দা ও আরাধ্য পরমেশ্বর শ্রীকৃষ্ণ নিন্দা করছেন, তারা কখনই শুদ্ধ ভক্ত হতে পারে না। এদের উদ্দেশ্য বৈষ্ণবগণের কৃষ্ণ ভক্তিতে আঘাত হানা। তাদের ভক্তি নষ্ট করা। এসকল শৈব বেশধারী বৈষ্ণব অপরাধ করছেন অনবরত।
শাস্ত্রে কৃষ্ণ নিন্দুকদের অসুর বলে সম্বোধন করা হয়েছে। যেহেতু এরা শৈব বেশধারী এবং কৃষ্ণ নিন্দুক, সেহেতু এদেরকে শৈব+অসুর = শৈবাসুর বলে সম্বোধন করলে ভূল কিছু হবে না।
★যারা কৃষ্ণের প্রতি আত্মসমর্পণ করে না
তারা অসুর প্রকৃতির, মহাভারতে
(অশ্বমেধপর্ব/অর্জুনের জীবনার্থ/৪০)
বলা হয়েছে ,"কৃষ্ণে প্রীতি যে না
করে, সে জন অসুর শরীর ধরিয়া ক্লেশ
পাইবে প্রচুর ৷"
★যারা অসুর প্রকৃতির তারা চায় নাকেউ কৃষ্ণভক্ত হোক, তারা ছলে বলে
চেষ্টা করে কিভাবে সবাইকে কৃষ্ণ
ভক্তি থেকে দূরে রাখা যায় ৷ তাদের
উদ্দেশ্যে মহাভারতে (সভাপর্ব্ব/
শিশুপালের প্রতি যুধিষ্ঠির বাক্য/৭)
বলা হয়েছে, " কৃষ্ণ পূজা যে জন করে,
তাকে যে নিন্দা করে সে জনারে
কখনো মান্য করিবে না৷"
এখানে স্পষ্ট কৃষ্ণ নিন্দা অসুরের কাজ এবং একাজ শৈব বেশধারী কিছু শৈবাসুর করে যাচ্ছে। এই শৈবাসুরগুলো জ্ঞানশূণ্য হয়ে কৃষ্ণ নিন্দাতে উদ্ধত।
যিনি পরম বৈষ্ণব , তিনিই শিব। শিব স্বয়ং শ্রীভগবানের কৃপা বাঞ্চিত আর এসকল অসুররুপীগণ শৈব নাম নিয়ে সেই শ্রীভগবানের নিন্দা করছে। স্বয়ং শ্রী শিবই এই শৈবাসুরদের বিনাশের কারণ হবে, তাতে বিন্দুমাত্র দ্বিধা নেই।
এই শৈব বেশধারী অসুরগণ সর্বদা বৈষ্ণব নিন্দাতে তৎপর। কিন্তু বৈষ্ণব নিন্দার ক্ষমা হয় না , সেই জ্ঞান এই শৈব বেশধারীদের মধ্যে নেই। সবথেকে চরম অপরাধ হল - "বৈষ্ণব অপরাধ"
যিনি বৈষ্ণব অপরাধ করেন তাকে শ্রীভগবানও ক্ষমা করে না, শিব, ব্রহ্মা, ইন্দ্রাদি সকল দেবগণ বৈষ্ণব অপরাধকে ক্ষমা করবেন না। কিন্তু এই দুরাত্মা শৈবগণ বৈষ্ণব নিন্দা করে স্বর্গীয় সুখ প্রাপ্তি করে, এবার দেখা যাক তাদের এই স্বর্গীয় সুখের কি পরিণতি--
★নিন্দাং কুর্বন্তি যে মূঢ়া বৈষ্ণবানাং মহাত্মনাম্
পতন্তি পিতৃভিঃ সার্ধং মহারৌরব-সংঙ্গিতে
হন্তি নন্দতি বৈ দ্বেষ্টি বৈষ্ণবান্ নাভিনন্দতি,
ক্রুধ্যতে যাতি নো হর্ষং দর্শনে পতনানিষ্ট(স্কন্দপুরাণ)
যে সকল মূঢ়াত্মা বৈষ্ণব গণের নিন্দা করে থাকে তারা পিতৃবর্গের সঙ্গে মহারৌরব নামক নরকে পতিত হন। যেমন,
১।যে ব্যাক্তি বৈষ্ণবকে হত্যা করে।
২।বৈষ্ণব নিন্দা করে।
৩। বৈষ্ণবদের সাথে বিদ্বেষ ভাব পোষন করে
৪। দর্শনে প্রনতি জানায় না।
৫। বৈষ্ণবদের প্রতি ক্রোধান্বিত হয়।
৬। বৈষ্ণবদের দেখলে আনন্দিত না হয়।
বৈষ্ণব অপরাধ করে গঙ্গা স্নানেও সেই পাপ ধৌত হবে না। এ পাপের কোনোই ক্ষমা নেই (সাবধান শৈবগণ)
বৈষ্ণব নিন্দিয়া যে জন গঙ্গা স্নানে যায়,, পতিত পাবনে গঙ্গা ফিরিয়া না পায়।।
ব্যাখা:: ভক্তগন সকল পাপতাপ থেকে মুক্তি লাভের জন্য গঙ্গাস্নানে যায়,,কিন্তুু,,,প্রকৃত কৃষ্ণ ভক্ত বা বৈষ্ণব নিন্দা করে গঙ্গা স্নানে গেলে মা গঙ্গা ও তার বৈমুখ হয়ে যায়।
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন