অভিশপ্ত শৈব
কিছুকাল যাবৎ অভক্ত শৈব্যগণ বৈষ্ণব বিদ্বেষী নানা ভ্রান্ত কথা ছাড়াচ্ছে। এসকল অশুদ্ধ শৈব্যগণ বৈষ্ণব বিদ্বেষী বিষ সকলের মাঝে ছড়িয়ে দিচ্ছে তাদের “শৈব যোগী সংঘ” নামক পেজের মাধ্যমে। তাদের মূল লক্ষ্য বৈষ্ণবকে যেনো তেনো উপায়ে সকলের বিদ্বেষী করে তোলা। এসকল অসাধুগণ শাস্ত্রের অপব্যাখ্যা দ্বারা সকলকে বিভ্রান্ত করছে। তারা একটি শ্লোক তৈরী করেছে বৈষ্ণবদের বিরুদ্ধে। এই শ্লোক আদৌ কোনও শাস্ত্রে আছে কিনা সন্দেহ। তারা এই শ্লোকটার উদ্ধৃতি দিয়েছে কিন্তু কোন শাস্ত্রে আছে সেটি উল্লেখই করে নি।
তাদের বৈষ্ণব বিদ্বেষী তৈরী করা শ্লোক দেখা যাক,
“চন্ডাচন্ড বিচন্ড জল্পক মহাভেদা সদা বৈষ্ণবাঃ।
সর্বে বৈ প্রপতান্তি দুঃসহ তরে সত্যং ন মোক্ষ পরঃ।।”
অর্থঃ বৈষ্ণবরা সর্বদা বাদ-বিসম্বাদ প্রিয় এবং স্বমত স্থাপন করতে গিয়ে সর্বদা পরমত খন্ডন করার ইচ্ছা করেন এবং ভেদবুদ্ধিধারী। এরা সকলে দুঃসহ নিরয়ে নিপতিত হয়ে নানা দুঃখ ভোগ করেন। অতএব এদের মোক্ষ কোথায়?
তারা এরুপভাবে বৈষ্ণব বিদ্বেষীমুলক কথা ছড়াচ্ছে। কিন্তু শৈব্যরা এত বৈষ্ণব বিদ্বেষী কেন?? এর অবশ্যই কারণ আছে, এসকল ভন্ড শৈব্যগণ কেন বৈষ্ণব বিরোধী তার কারণ ভৃগুমুনির অভিশাপ। তা শাস্ত্র থেকেই বিস্তারিত দিব এবং কেন ভৃগুমুনি শৈব্যগণকে অভিশাপ দিলেন সেটি বলা যাক।
পুরাকালে বিশ্বস্রষ্টৃদিগের যজ্ঞে শিব দক্ষকে প্রত্যুত্থানাদি দ্বারা কোনও সম্মান প্রদর্শন না করাতে দক্ষ শিবকে অক্ষজবিচারে কনিষ্ঠ মনে করে বহু দেবতা, ঋষিবৃন্দের সমক্ষেই শিবের প্রতি কুবাক্যপ্রয়োগ ও অভিশাপ প্রদান করলেন। শিবানুচরগণের প্রধান নন্দী শিবনিন্দা সহ্য করতে না পারায় দক্ষ ও দক্ষের বাক্যনুমোদনকারী ব্রাহ্মণগণকে অভিশাপ প্রদান করলেন। ব্রাহ্মণগণের প্রতি শিবানুচর নন্দীর অভিশাপ শ্রবণ করে ভৃগুমুনিও শিবানুচরগণকে(শৈব্য) প্রত্যভিশাপ প্রদান করলেন।
অতপরঃ ভৃগুমুনি শৈব্যগণকে যা অভিশাপ দিলেন:
"ভবব্রতধরা যে চ যে তান্ সমনুব্রতাঃ।
পাখণ্ডিনস্তে ভবন্তু সচ্ছাস্ত্রপরিপন্থিনঃ।।" ভা- ৪/২/২৮
অর্থঃ যারা শিবের ভক্ত এবং যারা সেই শিবভক্তদের অনুগামী তারা সকলেই সৎ-শাস্ত্রের পরিপন্থি হয়ে 'পাষণ্ডী' নামে খ্যাত হোক।
"নষ্টশৌচা মুঢ়ধিয়ো জটাভস্মাস্থিধারিণঃ।
বিশন্তু শিবদীক্ষায়াং যত্র দৈবং সুরাসবম্।।" ভা.৪/২/২৯
অর্থঃ ‘যারা শৌচাচারবিহীন, মন্দবুদ্ধি তথা জটা, ভস্ম এবং অস্থিধারণকারী তারাই শৈবসম্প্রদায়ে দীক্ষিত হোক— যে সম্প্রদায়ে সুরা এবং চোয়ান মদ দেবতার মতো আদর পেয়ে থাকে।
"ব্রহ্ম চ ব্রাহ্মণাংশ্চৈব যদ্যূয়ং পরিনিন্দথ।
সেতুং বিধারণং পুংসামতঃ পাখণ্ডমাশ্রিতাঃ।।" ভা. ৪/২/৩০
অর্থঃ ধর্মমর্যাদার সংস্থাপক এবং বর্ণাশ্রমধর্ম আচরণকারী ব্যক্তিদের রক্ষক স্বরুপ বেদ এবং ব্রাহ্মণদের যে তোমরা নিন্দা করছ এতেই বোঝা যে তোমরা (বেদ-বাহ্য) পাষণ্ড পথেরই আশ্রয় নিয়েছ।
"তদব্রহ্ম পরমং শুদ্ধং সতাং বর্ত্ম সনাতনম্।
বিগর্হ্য যাত পাষণ্ডং দৈবং বো যত্র ভূতরাট্॥" ভা. ৪/২/৩২
অর্থঃ সজ্জনগণের এই পরম পবিত্র এবং সনাতন পথ-স্বরুপ বেদের তোমরা করছ— সুতরাং যে ধর্মে তোমাদের ভূতনাথই ইষ্টদেবতা সেই পাষণ্ডমার্গেই তোমাদের গতি হোক।
এবার দেখা যাক ভৃগুমুনির এই অভিশাপ শ্রীশিব মেনে নিয়েছিলেন কিনা,
"তস্যৈবং বদতঃ শাপং ভৃগোঃ স ভগবান্ ভবঃ।
নিশ্চক্রাম ততঃ কিঞ্চিদ্ বিমনা ইব সানুগঃ॥" ভা. ৪/২/৩৩
অর্থঃ ভৃগুমুনি এই প্রকারে অভিসম্পাত করলে ভগবান শংকর যেন কিঞ্চিত বিমনা হয়ে নিজের অনুচরগণের সঙ্গে সেখান থেকে চলে গেলেন।
অর্থ্যাৎ, শৈব্যগণ কেন বৈষ্ণব বিদ্বেষী সেটি স্পষ্ট হলো। এরা শৌচাচারবিহীন মন্দবুদ্ধি, সকল শুদ্ধ শাস্ত্রের এরা বিরোধীতা করবে এবং এরা সেটিই করছে। এরা যেমন সৎ-শাস্ত্রের পরিপন্থি করছে তেমনি সৎ-শাস্ত্র মান্যকারীদেরও বিরোধিতা করছে। ভৃগুমুনির দ্বারা অভিশাপগ্রস্থ হয়ে অসাধুগণ বৈষ্ণব বিদ্বেষীতা করছে। সুতরাং, এসকল অসাধুগণের মুক্তি অসম্ভব।
তাদের বৈষ্ণব বিদ্বেষী তৈরী করা শ্লোক দেখা যাক,
“চন্ডাচন্ড বিচন্ড জল্পক মহাভেদা সদা বৈষ্ণবাঃ।
সর্বে বৈ প্রপতান্তি দুঃসহ তরে সত্যং ন মোক্ষ পরঃ।।”
অর্থঃ বৈষ্ণবরা সর্বদা বাদ-বিসম্বাদ প্রিয় এবং স্বমত স্থাপন করতে গিয়ে সর্বদা পরমত খন্ডন করার ইচ্ছা করেন এবং ভেদবুদ্ধিধারী। এরা সকলে দুঃসহ নিরয়ে নিপতিত হয়ে নানা দুঃখ ভোগ করেন। অতএব এদের মোক্ষ কোথায়?
তারা এরুপভাবে বৈষ্ণব বিদ্বেষীমুলক কথা ছড়াচ্ছে। কিন্তু শৈব্যরা এত বৈষ্ণব বিদ্বেষী কেন?? এর অবশ্যই কারণ আছে, এসকল ভন্ড শৈব্যগণ কেন বৈষ্ণব বিরোধী তার কারণ ভৃগুমুনির অভিশাপ। তা শাস্ত্র থেকেই বিস্তারিত দিব এবং কেন ভৃগুমুনি শৈব্যগণকে অভিশাপ দিলেন সেটি বলা যাক।
পুরাকালে বিশ্বস্রষ্টৃদিগের যজ্ঞে শিব দক্ষকে প্রত্যুত্থানাদি দ্বারা কোনও সম্মান প্রদর্শন না করাতে দক্ষ শিবকে অক্ষজবিচারে কনিষ্ঠ মনে করে বহু দেবতা, ঋষিবৃন্দের সমক্ষেই শিবের প্রতি কুবাক্যপ্রয়োগ ও অভিশাপ প্রদান করলেন। শিবানুচরগণের প্রধান নন্দী শিবনিন্দা সহ্য করতে না পারায় দক্ষ ও দক্ষের বাক্যনুমোদনকারী ব্রাহ্মণগণকে অভিশাপ প্রদান করলেন। ব্রাহ্মণগণের প্রতি শিবানুচর নন্দীর অভিশাপ শ্রবণ করে ভৃগুমুনিও শিবানুচরগণকে(শৈব্য) প্রত্যভিশাপ প্রদান করলেন।
অতপরঃ ভৃগুমুনি শৈব্যগণকে যা অভিশাপ দিলেন:
"ভবব্রতধরা যে চ যে তান্ সমনুব্রতাঃ।
পাখণ্ডিনস্তে ভবন্তু সচ্ছাস্ত্রপরিপন্থিনঃ।।" ভা- ৪/২/২৮
অর্থঃ যারা শিবের ভক্ত এবং যারা সেই শিবভক্তদের অনুগামী তারা সকলেই সৎ-শাস্ত্রের পরিপন্থি হয়ে 'পাষণ্ডী' নামে খ্যাত হোক।
"নষ্টশৌচা মুঢ়ধিয়ো জটাভস্মাস্থিধারিণঃ।
বিশন্তু শিবদীক্ষায়াং যত্র দৈবং সুরাসবম্।।" ভা.৪/২/২৯
অর্থঃ ‘যারা শৌচাচারবিহীন, মন্দবুদ্ধি তথা জটা, ভস্ম এবং অস্থিধারণকারী তারাই শৈবসম্প্রদায়ে দীক্ষিত হোক— যে সম্প্রদায়ে সুরা এবং চোয়ান মদ দেবতার মতো আদর পেয়ে থাকে।
"ব্রহ্ম চ ব্রাহ্মণাংশ্চৈব যদ্যূয়ং পরিনিন্দথ।
সেতুং বিধারণং পুংসামতঃ পাখণ্ডমাশ্রিতাঃ।।" ভা. ৪/২/৩০
অর্থঃ ধর্মমর্যাদার সংস্থাপক এবং বর্ণাশ্রমধর্ম আচরণকারী ব্যক্তিদের রক্ষক স্বরুপ বেদ এবং ব্রাহ্মণদের যে তোমরা নিন্দা করছ এতেই বোঝা যে তোমরা (বেদ-বাহ্য) পাষণ্ড পথেরই আশ্রয় নিয়েছ।
"তদব্রহ্ম পরমং শুদ্ধং সতাং বর্ত্ম সনাতনম্।
বিগর্হ্য যাত পাষণ্ডং দৈবং বো যত্র ভূতরাট্॥" ভা. ৪/২/৩২
অর্থঃ সজ্জনগণের এই পরম পবিত্র এবং সনাতন পথ-স্বরুপ বেদের তোমরা করছ— সুতরাং যে ধর্মে তোমাদের ভূতনাথই ইষ্টদেবতা সেই পাষণ্ডমার্গেই তোমাদের গতি হোক।
এবার দেখা যাক ভৃগুমুনির এই অভিশাপ শ্রীশিব মেনে নিয়েছিলেন কিনা,
"তস্যৈবং বদতঃ শাপং ভৃগোঃ স ভগবান্ ভবঃ।
নিশ্চক্রাম ততঃ কিঞ্চিদ্ বিমনা ইব সানুগঃ॥" ভা. ৪/২/৩৩
অর্থঃ ভৃগুমুনি এই প্রকারে অভিসম্পাত করলে ভগবান শংকর যেন কিঞ্চিত বিমনা হয়ে নিজের অনুচরগণের সঙ্গে সেখান থেকে চলে গেলেন।
অর্থ্যাৎ, শৈব্যগণ কেন বৈষ্ণব বিদ্বেষী সেটি স্পষ্ট হলো। এরা শৌচাচারবিহীন মন্দবুদ্ধি, সকল শুদ্ধ শাস্ত্রের এরা বিরোধীতা করবে এবং এরা সেটিই করছে। এরা যেমন সৎ-শাস্ত্রের পরিপন্থি করছে তেমনি সৎ-শাস্ত্র মান্যকারীদেরও বিরোধিতা করছে। ভৃগুমুনির দ্বারা অভিশাপগ্রস্থ হয়ে অসাধুগণ বৈষ্ণব বিদ্বেষীতা করছে। সুতরাং, এসকল অসাধুগণের মুক্তি অসম্ভব।
কেউ শুদ্ধ বা অশুদ্ধ নয়। সকলেই
উত্তরমুছুনপরমেশ্বর শিব - এর অংশ।
সৌর পুরান আনব? শূদ্র ও ম্লেচ্ছদের সঙ্গে তুলনা করা হয়েছে বৈষ্ণবের।
উত্তরমুছুন🐐
মুছুন😂
মুছুনঅশুদ্ধ শৈব তাদের পাপী বলা হয়েছে। পাপী শৈবদের নরকে গমন হওয়ার কথাও আছে। নরকের কীট শৈবদের শুদ্র দের থেকে নিচু পাপ জনি ধরা হয়েছে গ্রন্থে।
মুছুন