ব্রহ্ম শরীর ধারণ করেন
ব্রহ্ম কি শরীরধারণ করেন?
#ব্রহ্মসুত্রে সূর্য্য এবং চক্ষুর মধ্যবর্তী পুরুষের উল্লেখ করা হইয়াছে,
—“অন্তন্তদ্ধর্ম্মোপদেশাৎ” (ব্রহ্মসুত্র-১.১.২০)
অন্তঃ সূর্য্য এবং চক্ষুর অভ্যন্তরে যে পুরুষের উল্লেখ আছে।
#ছান্দোগ্য উপনিষদে উক্ত সূর্য্য এবং চক্ষুর মধ্যবর্তী পুরুষকেই ব্রহ্ম বলিয়াছে।
—“অথ য এষোহন্তরাদিত্যে হিরণ্ময়ঃ পুরুষো দৃশ্যতে হিরণ্যশ্মশ্রুঃ হিরণ্যকেশঃ আপ্রণখাৎ সর্ব্ব এব সুবর্ণঃ”, “তস্য যথা কপ্যাসং পুণ্ডরীকং এব অক্ষিণী, তস্য উৎ ইতি নাম, স এষ সর্ব্বেভ্যঃ পাপ্ মভ্যঃ উদিতঃ, উদেতি হ বৈ সর্ব্বেভ্যঃ পাপ্ মভ্যঃ এবং বেদ।” ( ছান্দোগ্য উপনিষদ- ১.৬.৬)
অর্থঃ এই যে সূর্য্যের মধ্যে সুবর্ণময় পুরুষ দেখা যায়, যাহার শ্মশ্রু হিরণ্ময়, কেশ হিরণ্ময়, নখাগ্র পর্যন্ত সর্ব্বাবয়ব সুবর্ণময়, যাহার চক্ষুর্দ্বয় উজ্জল-রক্তবর্ণ পদ্মের ন্যায়, তাহার নাম “উৎ” কারণ, তিনি সকল পাপ হইতে উর্ধ্বে অবস্থিত, যিনি এইরুপ জানেন, তিনিও সকল পাপ হইতে উর্ধ্বে উত্থিত হন।
#আবার অধ্যাত্মপুরুষের এইরুপ বর্ণনা আছে:
—“অথ য এষ অন্তরক্ষিণি পুরুষঃ দৃশ্যতে সৈব ঋ্ক তৎ সাম তদুকথং, তৎ যজুঃ তৎ ব্রহ্ম, তস্য এতস্য তদেব রুপং যদমুষ্য রুপং যন্নাম তন্নাম”
অর্থঃ এই যে চক্ষুর মধ্যে পুরুষ দেখিতে পাওয়া যায়,ইনিই ঋক, ইনিই সাম, ইনিই উকথ(সামবেদীয় স্তোত্রবিশেষ), ইনিই যজু, ইনি ব্রহ্ম(তিন বেদ)। উহার(সূর্য্য মধ্যবর্তী পুরুষের) যাহা রুপ, ইহারও(চক্ষু মধ্যবর্তী পুরুষের) সেই রুপ, উহার যাহা নাম, ইহারও তাহা নাম।
—“স এষ যে চ অমুষ্মাৎ পরাঞ্চো লোকান্তেষাং চ ঈষ্টে দেবকামানাং চ” (ছান্দোগ্য-১.৬.৮)
অর্থঃ সূর্য্যের উর্ধ্বভাগে যে সকল লোক(মহ, জন আদি) ইনি( সূর্য্য মধ্যবর্তী পুরুষ) তাহাদের ঈশ্বর, এবং দেবতাদের যে সকল অভিলাষ, তাহাদেরও তিনি ঈশ্বর।
—“স এষ যে চ এতস্মদর্বাঞ্চো লোকাঃ তেষাং চ ঈষ্টে মনুষ্যকামানাং চ” ( ছান্দোগ্য উপনিষদ-১.৭.৬)
অর্থঃ অধোভাগে যে সকল লোক(পাতাল প্রভৃতি) ইনি(চক্ষুঃস্থ পুরুষ) তাহাদের ঈশ্বর এবং মানবেব যে সকল ইচ্ছা, তাহাদেরও ঈশ্বর।
#উপনিষদে উক্ত সূর্য্য ও চক্ষুর মধ্যবর্তী পুরুষ কে, এই সমস্যার সমাধান করিয়া এই সুত্র বলিতেছেন যে, দুই স্থানে উল্লিখিত পুরুষ-- ব্রহ্মই। কারণ, ব্রহ্মের ধর্মের উল্লেখ করা হইয়াছে। বলা হইয়াছে যে, ইনি সকল পাপের অতীত। ব্রহ্মই সকল পাপের অতীত, আর কেহ নহেন। ব্রহ্মই জগতের কারণ, অতএব সর্ব্বাত্মক, আর কেহ নহে। পুরুষের উল্লেখ আছে বলিয়া মনে করা উচিৎ নহে যে, ইনি ব্রহ্ম হইতে পারেন না। কারণ, ব্রহ্মও ইচ্ছানুসারে সাধকের অনুগ্রহের জন্য #মায়াময় রুপ গ্রহণ করিয়া থাকেন।
#উক্ত পুরুষ অর্থ্যাৎ ব্রহ্ম শরীর ধারণ করিয়া থাকেন। এবিষয়ে বলা হইয়াছে:
ছান্দোগ্য উপনিষদে সূর্য্য ও চক্ষুর অন্তর্বর্তী যে পুরুষের উল্লেখ আছে(পূর্বে যাহা উদ্ধৃত হইয়াছে), রামানুজও সেই বাক্য উদ্ধৃত করিয়াছেন এবং বলিয়াছেন যে, এই সূর্য্য ও চক্ষুর মধ্যবর্তী পুরুষকে #শরীর সংযুক্ত বলা হইয়াছে, এজন্য কেহ আশঙ্কা করিতে পারেন যে, এখানে কোনও উৎকৃষ্ট জীব অথবা দেবতার উল্লেখ হইয়াছে, ব্রহ্মের নহে, কারণ জীবই পূর্বাকৃত-কর্মানুসারে সুখ-দুঃখভোগের জন্য শরীর লাভ করে। ব্রহ্মের শরীরধারণ করিবার সেরুপ কোনও কারণ দেখিতে পাওয়া যায় না। কিন্তু এ আশঙ্কা অমূলক। এখানে কোনও দেবতার উল্লেখ হয় নাই, ব্রহ্মের উল্লেখ করা হইয়াছে। কারণ #ব্রহ্মের কয়েকটি ধর্ম এখানে উল্লেখ দেখা যায়। যথা— অপহতপাপমত্ব, লোকেশ্বরত্ব, কামেশ্বরত্ব, সত্যসংকল্পত্ব এবং সর্বভূতের অন্তরাত্মত্ব। ব্রহ্মকে পূর্বকৃতকর্মফল ভোগ করিবার জন্য শরীর ধারণ করিতে হয় না বটে, কিন্তু তিনি ইচ্ছানুসারে শরীর ধারণ করিতে পারেন, কারণ, তিনি সত্যসংকল্প। জীবের শরীর সত্ত্ব, রজ, তম এই তিন গুণের বিকার, কিন্তু ব্রহ্ম যে দেহ ধারণ করেন, তাহা এরুপ নহে, তাহা দিব্য, অপ্রাকৃত। ব্রহ্মের যেরুপ অনন্ত কল্যাণগুণ আছে, সেইরুপ #দিব্য রুপ আছে। উপাসক সাধুদের প্রতি অনুগ্রহ প্রকাশ করিবার জন্য ব্রহ্ম #এরুপ দিব্য শরীর ধারণ করেন। গীতায় ভগবান বলিয়াছেন,
—“অজোহপি সন্নব্যয়াত্মা ভুতানামীশ্বরোহপি সন্।
প্রকৃতিং সামধিষ্ঠায় সম্ভবাম্যাত্মমায়য়া।।”
অর্থ্যাৎ, যদিও আমার জন্ম নাই, যদিও আমার পরিবর্তন নাই, যদিও আমি সকল প্রাণীর ঈশ্বর, তথাপি আমি নিজ প্রকৃতিতে অধিষ্ঠিত হইয়া, নিজের মায়াশক্তির দ্বারা জন্ম গ্রহণ করি।
#প্রকৃতি অর্থ্যাৎ স্বভাব। নিজের স্বভাব অধিষ্ঠান করিয়া ব্রহ্ম দেহ গ্রহণ করেন— তিনি সংসারীদের ন্যায় স্বভাব অধিষ্ঠান করেন না। শরীর ধারণ করিবার উদ্দেশ্য সম্বন্ধে ভগবান গীতায় বলিয়াছেন,
“পরিত্রাণায় সাধুনাং বিনাশায় চ দুষ্কৃতাম”
সাধুদের অর্থ্যাৎ উপাসকদিগকে দর্শন দান করা শরীর গ্রহণের মুখ্য কারণ। দুষ্কৃতদের বিনাশ ব্রহ্মের শরীর গ্রহণের অানুষঙ্গিক ফল। কারণ, দেহ ধারণ না করিয়াও কেবল ইচ্ছামাত্রেই ঈশ্বর দুষ্কৃতদের শাস্তি দিতে পারেন।
মহাভারতে বলা হইয়াছে,
“ন ভুতসঙ্ঘসংস্থানো দেহোহস্য পরমাত্মনঃ
ঈশ্বরের দেহ প্রাকৃত ভূতের (সাধারণ পার্থিব বস্তুর) সমষ্টিমাত্র নহে।
#ব্রহ্মসুত্রে সূর্য্য এবং চক্ষুর মধ্যবর্তী পুরুষের উল্লেখ করা হইয়াছে,
—“অন্তন্তদ্ধর্ম্মোপদেশাৎ” (ব্রহ্মসুত্র-১.১.২০)
অন্তঃ সূর্য্য এবং চক্ষুর অভ্যন্তরে যে পুরুষের উল্লেখ আছে।
#ছান্দোগ্য উপনিষদে উক্ত সূর্য্য এবং চক্ষুর মধ্যবর্তী পুরুষকেই ব্রহ্ম বলিয়াছে।
—“অথ য এষোহন্তরাদিত্যে হিরণ্ময়ঃ পুরুষো দৃশ্যতে হিরণ্যশ্মশ্রুঃ হিরণ্যকেশঃ আপ্রণখাৎ সর্ব্ব এব সুবর্ণঃ”, “তস্য যথা কপ্যাসং পুণ্ডরীকং এব অক্ষিণী, তস্য উৎ ইতি নাম, স এষ সর্ব্বেভ্যঃ পাপ্ মভ্যঃ উদিতঃ, উদেতি হ বৈ সর্ব্বেভ্যঃ পাপ্ মভ্যঃ এবং বেদ।” ( ছান্দোগ্য উপনিষদ- ১.৬.৬)
অর্থঃ এই যে সূর্য্যের মধ্যে সুবর্ণময় পুরুষ দেখা যায়, যাহার শ্মশ্রু হিরণ্ময়, কেশ হিরণ্ময়, নখাগ্র পর্যন্ত সর্ব্বাবয়ব সুবর্ণময়, যাহার চক্ষুর্দ্বয় উজ্জল-রক্তবর্ণ পদ্মের ন্যায়, তাহার নাম “উৎ” কারণ, তিনি সকল পাপ হইতে উর্ধ্বে অবস্থিত, যিনি এইরুপ জানেন, তিনিও সকল পাপ হইতে উর্ধ্বে উত্থিত হন।
#আবার অধ্যাত্মপুরুষের এইরুপ বর্ণনা আছে:
—“অথ য এষ অন্তরক্ষিণি পুরুষঃ দৃশ্যতে সৈব ঋ্ক তৎ সাম তদুকথং, তৎ যজুঃ তৎ ব্রহ্ম, তস্য এতস্য তদেব রুপং যদমুষ্য রুপং যন্নাম তন্নাম”
অর্থঃ এই যে চক্ষুর মধ্যে পুরুষ দেখিতে পাওয়া যায়,ইনিই ঋক, ইনিই সাম, ইনিই উকথ(সামবেদীয় স্তোত্রবিশেষ), ইনিই যজু, ইনি ব্রহ্ম(তিন বেদ)। উহার(সূর্য্য মধ্যবর্তী পুরুষের) যাহা রুপ, ইহারও(চক্ষু মধ্যবর্তী পুরুষের) সেই রুপ, উহার যাহা নাম, ইহারও তাহা নাম।
—“স এষ যে চ অমুষ্মাৎ পরাঞ্চো লোকান্তেষাং চ ঈষ্টে দেবকামানাং চ” (ছান্দোগ্য-১.৬.৮)
অর্থঃ সূর্য্যের উর্ধ্বভাগে যে সকল লোক(মহ, জন আদি) ইনি( সূর্য্য মধ্যবর্তী পুরুষ) তাহাদের ঈশ্বর, এবং দেবতাদের যে সকল অভিলাষ, তাহাদেরও তিনি ঈশ্বর।
—“স এষ যে চ এতস্মদর্বাঞ্চো লোকাঃ তেষাং চ ঈষ্টে মনুষ্যকামানাং চ” ( ছান্দোগ্য উপনিষদ-১.৭.৬)
অর্থঃ অধোভাগে যে সকল লোক(পাতাল প্রভৃতি) ইনি(চক্ষুঃস্থ পুরুষ) তাহাদের ঈশ্বর এবং মানবেব যে সকল ইচ্ছা, তাহাদেরও ঈশ্বর।
#উপনিষদে উক্ত সূর্য্য ও চক্ষুর মধ্যবর্তী পুরুষ কে, এই সমস্যার সমাধান করিয়া এই সুত্র বলিতেছেন যে, দুই স্থানে উল্লিখিত পুরুষ-- ব্রহ্মই। কারণ, ব্রহ্মের ধর্মের উল্লেখ করা হইয়াছে। বলা হইয়াছে যে, ইনি সকল পাপের অতীত। ব্রহ্মই সকল পাপের অতীত, আর কেহ নহেন। ব্রহ্মই জগতের কারণ, অতএব সর্ব্বাত্মক, আর কেহ নহে। পুরুষের উল্লেখ আছে বলিয়া মনে করা উচিৎ নহে যে, ইনি ব্রহ্ম হইতে পারেন না। কারণ, ব্রহ্মও ইচ্ছানুসারে সাধকের অনুগ্রহের জন্য #মায়াময় রুপ গ্রহণ করিয়া থাকেন।
#উক্ত পুরুষ অর্থ্যাৎ ব্রহ্ম শরীর ধারণ করিয়া থাকেন। এবিষয়ে বলা হইয়াছে:
ছান্দোগ্য উপনিষদে সূর্য্য ও চক্ষুর অন্তর্বর্তী যে পুরুষের উল্লেখ আছে(পূর্বে যাহা উদ্ধৃত হইয়াছে), রামানুজও সেই বাক্য উদ্ধৃত করিয়াছেন এবং বলিয়াছেন যে, এই সূর্য্য ও চক্ষুর মধ্যবর্তী পুরুষকে #শরীর সংযুক্ত বলা হইয়াছে, এজন্য কেহ আশঙ্কা করিতে পারেন যে, এখানে কোনও উৎকৃষ্ট জীব অথবা দেবতার উল্লেখ হইয়াছে, ব্রহ্মের নহে, কারণ জীবই পূর্বাকৃত-কর্মানুসারে সুখ-দুঃখভোগের জন্য শরীর লাভ করে। ব্রহ্মের শরীরধারণ করিবার সেরুপ কোনও কারণ দেখিতে পাওয়া যায় না। কিন্তু এ আশঙ্কা অমূলক। এখানে কোনও দেবতার উল্লেখ হয় নাই, ব্রহ্মের উল্লেখ করা হইয়াছে। কারণ #ব্রহ্মের কয়েকটি ধর্ম এখানে উল্লেখ দেখা যায়। যথা— অপহতপাপমত্ব, লোকেশ্বরত্ব, কামেশ্বরত্ব, সত্যসংকল্পত্ব এবং সর্বভূতের অন্তরাত্মত্ব। ব্রহ্মকে পূর্বকৃতকর্মফল ভোগ করিবার জন্য শরীর ধারণ করিতে হয় না বটে, কিন্তু তিনি ইচ্ছানুসারে শরীর ধারণ করিতে পারেন, কারণ, তিনি সত্যসংকল্প। জীবের শরীর সত্ত্ব, রজ, তম এই তিন গুণের বিকার, কিন্তু ব্রহ্ম যে দেহ ধারণ করেন, তাহা এরুপ নহে, তাহা দিব্য, অপ্রাকৃত। ব্রহ্মের যেরুপ অনন্ত কল্যাণগুণ আছে, সেইরুপ #দিব্য রুপ আছে। উপাসক সাধুদের প্রতি অনুগ্রহ প্রকাশ করিবার জন্য ব্রহ্ম #এরুপ দিব্য শরীর ধারণ করেন। গীতায় ভগবান বলিয়াছেন,
—“অজোহপি সন্নব্যয়াত্মা ভুতানামীশ্বরোহপি সন্।
প্রকৃতিং সামধিষ্ঠায় সম্ভবাম্যাত্মমায়য়া।।”
অর্থ্যাৎ, যদিও আমার জন্ম নাই, যদিও আমার পরিবর্তন নাই, যদিও আমি সকল প্রাণীর ঈশ্বর, তথাপি আমি নিজ প্রকৃতিতে অধিষ্ঠিত হইয়া, নিজের মায়াশক্তির দ্বারা জন্ম গ্রহণ করি।
#প্রকৃতি অর্থ্যাৎ স্বভাব। নিজের স্বভাব অধিষ্ঠান করিয়া ব্রহ্ম দেহ গ্রহণ করেন— তিনি সংসারীদের ন্যায় স্বভাব অধিষ্ঠান করেন না। শরীর ধারণ করিবার উদ্দেশ্য সম্বন্ধে ভগবান গীতায় বলিয়াছেন,
“পরিত্রাণায় সাধুনাং বিনাশায় চ দুষ্কৃতাম”
সাধুদের অর্থ্যাৎ উপাসকদিগকে দর্শন দান করা শরীর গ্রহণের মুখ্য কারণ। দুষ্কৃতদের বিনাশ ব্রহ্মের শরীর গ্রহণের অানুষঙ্গিক ফল। কারণ, দেহ ধারণ না করিয়াও কেবল ইচ্ছামাত্রেই ঈশ্বর দুষ্কৃতদের শাস্তি দিতে পারেন।
মহাভারতে বলা হইয়াছে,
“ন ভুতসঙ্ঘসংস্থানো দেহোহস্য পরমাত্মনঃ
ঈশ্বরের দেহ প্রাকৃত ভূতের (সাধারণ পার্থিব বস্তুর) সমষ্টিমাত্র নহে।
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন