পোস্টগুলি

আসুরিক শৈব-শাক্ত

ছবি
আসুরিক ভাবাপন্ন ব্যক্তি #বর্তমানে ভন্ড আর্য এবং ভন্ড শৈব-শাক্ত, এই তিন মতালম্বীদের মধ্যে অধিকাংশই আসুরিক ভাবাপন্ন ব্যক্তি লক্ষ্য করা যায়। এসকল অসুরগণ সর্বদা কিভাবে শ্রীকৃষ্ণকে নিন্দা করা যাবে এবং শ্রীকৃষ্ণের ভক্তকে বিদ্বেষ করার বিভিন্ন পদ্ধতি তৈরী করে। অসুর শ্রেণীভুক্ত এসকল ভন্ড শৈব-শাক্ত ও আর্যদের সম্মুখে শ্রীকৃষ্ণকে পরমেশ্বর বললেই তাদের গাত্রদহন হতে থাকে। তারা নানা কৌশল অবলম্বন করে শ্রীকৃষ্ণের ও তার ভক্তদের নিন্দা করে। অসুরের ভাই অসুরই হয়, জানা কথা। সেইরুপ ভন্ড আর্যদেরকে ভন্ড শৈবরা ভাই করে নিয়েছে। যাইহোক, অসুরদের মনে কখনও ভগবদ্ভক্তি জাগ্রত হয় না। #ভগবান গীতায় বলেছেন,        “ন মাং দুষ্কৃতিনো মূঢ়াঃ প্রপদ্যন্তে নরাধমাঃ। মায়য়াপহৃতজ্ঞানা আসুরং ভাবমাশ্রিতাঃ।। (গীতা-৭.১৫)        অর্থঃ মুঢ়, নরাধম, মায়ার দ্বারা যাদের জ্ঞান অপহৃত হয়েছে এবং যারা আসুরিক ভাবাপন্ন, সেই সমস্ত দুষ্কৃতকারীরা কখনও আমার শরণাগত হয় না।        #এরুপ ভগবদ্বিদ্বেষী অসুরগণ ভগবান শ্রীকৃষ্ণে প্রপত্তি করে না। রাবণ, হিরণ্যকশিপু, জরাসন্ধ, কংস প্রভৃতি নৃপতিগণ ...

ব্রহ্ম শরীর ধারণ করেন

ছবি
ব্রহ্ম কি শরীরধারণ করেন? #ব্রহ্মসুত্রে সূর্য্য এবং চক্ষুর মধ্যবর্তী পুরুষের উল্লেখ করা হইয়াছে,           —“অন্তন্তদ্ধর্ম্মোপদেশাৎ” (ব্রহ্মসুত্র-১.১.২০) অন্তঃ সূর্য্য এবং চক্ষুর অভ্যন্তরে যে পুরুষের উল্লেখ আছে। #ছান্দোগ্য উপনিষদে উক্ত সূর্য্য এবং চক্ষুর মধ্যবর্তী পুরুষকেই ব্রহ্ম বলিয়াছে।           —“অথ য এষোহন্তরাদিত্যে হিরণ্ময়ঃ পুরুষো দৃশ্যতে হিরণ্যশ্মশ্রুঃ হিরণ্যকেশঃ আপ্রণখাৎ সর্ব্ব এব সুবর্ণঃ”, “তস্য যথা কপ্যাসং পুণ্ডরীকং এব অক্ষিণী, তস্য উৎ ইতি নাম, স এষ সর্ব্বেভ্যঃ পাপ্ মভ্যঃ উদিতঃ, উদেতি হ বৈ সর্ব্বেভ্যঃ পাপ্ মভ্যঃ এবং বেদ।” ( ছান্দোগ্য উপনিষদ- ১.৬.৬)         অর্থঃ এই যে সূর্য্যের মধ্যে সুবর্ণময় পুরুষ দেখা যায়, যাহার শ্মশ্রু হিরণ্ময়, কেশ হিরণ্ময়, নখাগ্র পর্যন্ত সর্ব্বাবয়ব সুবর্ণময়, যাহার চক্ষুর্দ্বয় উজ্জল-রক্তবর্ণ পদ্মের ন্যায়, তাহার নাম “উৎ” কারণ, তিনি সকল পাপ হইতে উর্ধ্বে অবস্থিত, যিনি এইরুপ জানেন, তিনিও সকল পাপ হইতে উর্ধ্বে উত্থিত হন। #আবার অধ্যাত্মপুরুষের এইরুপ বর্ণনা আছে:       ...

পরম বৈষ্ণব শিব

ছবি
শিবই পরম বৈষ্ণব কলির কলুষিত শৈব্যরা পরমেশ্বর শ্রীকৃষ্ণকে একজন মহামানব আখ্যা দিতে চাই। তারা পরমেশ্বর শ্রীকৃষ্ণকে শিবের ভক্ত বানিয়ে ও কৃষ্ণ বিদ্বেষীতা করে সকলকে কৃষ্ণ বিমুখ করার নানা চেষ্ঠা করে যাচ্ছে। কলুষিত শৈব্যরা মহাভারতের কয়েকটি শ্লোকের উদ্ধৃতি দিয়ে শ্রীকৃষ্ণকে শিবের ভক্ত বলে চালিয়ে দিচ্ছে। কিন্তু মহাভারতেই যে সমস্ত স্থানে শ্রীকৃষ্ণকে পরমেশ্বর বলা হয়েছে এগুলো মানে না এবং মহাভারতে শ্রীকৃষ্ণের সঙ্গে বাণাসুরের যুদ্ধে পরম বৈষ্ণব শিব শ্রীকৃষ্ণের স্তুতি করেন ও পরমেশ্বর বলেন। এগুলো তারা মানে না। এটা কেমন নিয়ম!! আধা আধা মানার থেকে, না মানায় শ্রেয়। তারা কেবল মহাভারতের কয়েকটি শ্লোক মানে, পুরো মহাভারত মানে না। পরমেশ্বর শ্রীকৃষ্ণ শিবের নিকট প্রার্থনা করেন, আসলেই শ্রীকৃষ্ণ কি শিবের ভক্ত?? কিন্তু শাস্ত্র কি বলছে এবিষয়ে!! ➡️➡️পরম বৈষ্ণব শিব বললেন, “ততঃ সাক্ষাজ্জগন্নাথঃ প্রসন্নো ভক্তবৎসলঃ। অংশাংশেনাত্মনো বৈতান্ পূজয়ামাস কেশবঃ।। দেবান্ পতন্ দ্বিজান্ হব্যকব্যাশান্ করুণাময়ঃ। ততঃ প্রভৃতি পূজ্যন্তে ত্রৈলোক্য সচরাচরে।। ব্রহ্মাদয়ঃ সুরাঃ সর্ব্বে প্রসাদাৎ শাঙ্গর্ধন্বনঃ। মাঞ্চোবাচ তদা মত্তঃ পূজ...

অভিশপ্ত শৈব

ছবি
কিছুকাল যাবৎ অভক্ত শৈব্যগণ বৈষ্ণব বিদ্বেষী নানা ভ্রান্ত কথা ছাড়াচ্ছে। এসকল অশুদ্ধ শৈব্যগণ বৈষ্ণব বিদ্বেষী বিষ সকলের মাঝে ছড়িয়ে দিচ্ছে তাদের “শৈব যোগী সংঘ” নামক পেজের মাধ্যমে। তাদের মূল লক্ষ্য বৈষ্ণবকে যেনো তেনো উপায়ে সকলের বিদ্বেষী করে তোলা। এসকল অসাধুগণ শাস্ত্রের অপব্যাখ্যা দ্বারা সকলকে বিভ্রান্ত করছে। তারা একটি শ্লোক তৈরী করেছে বৈষ্ণবদের বিরুদ্ধে। এই শ্লোক আদৌ কোনও শাস্ত্রে আছে কিনা সন্দেহ। তারা এই শ্লোকটার উদ্ধৃতি দিয়েছে কিন্তু কোন শাস্ত্রে আছে সেটি উল্লেখই করে নি। তাদের বৈষ্ণব বিদ্বেষী তৈরী করা শ্লোক দেখা যাক, “চন্ডাচন্ড বিচন্ড জল্পক মহাভেদা সদা বৈষ্ণবাঃ। সর্বে বৈ প্রপতান্তি দুঃসহ তরে সত্যং ন মোক্ষ পরঃ।।” অর্থঃ বৈষ্ণবরা সর্বদা বাদ-বিসম্বাদ প্রিয় এবং স্বমত স্থাপন করতে গিয়ে সর্বদা পরমত খন্ডন করার ইচ্ছা করেন এবং ভেদবুদ্ধিধারী। এরা সকলে দুঃসহ নিরয়ে নিপতিত হয়ে নানা দুঃখ ভোগ করেন। অতএব এদের মোক্ষ কোথায়? তারা এরুপভাবে বৈষ্ণব বিদ্বেষীমুলক কথা ছড়াচ্ছে। কিন্তু শৈব্যরা এত বৈষ্ণব বিদ্বেষী কেন?? এর অবশ্যই কারণ আছে, এসকল ভন্ড শৈব্যগণ কেন বৈষ্ণব বিরোধী তার কারণ ভৃগুমুনির অভিশাপ। তা শাস...

কুচক্রি শৈবদের অপপ্রচার

ছবি
কিছু শাস্ত্রজ্ঞানহীন শৈবগণ বেদ, গীতাসহ সকল শাস্ত্র নিয়ে মিথ্যাচার প্রচার করছে। আবার তারা গীতার প্রকৃত অর্থ না বুঝে নিজস্ব ইচ্ছামত অর্থ প্রয়োগ করছে। সেই সকল অজ্ঞ শৈবগণের বেদ নিয়ে মিথ্যাচার দেখা যাকঃ শৈবগণের মধ্যে একজনের দাবী যজুর্বেদের ১৬/৪ এ বলা হয়েছে, " নমঃ শিবায় চ শিবতরায় চ।।" এবার দেখা যাক যজুর্বেদের ১৬/৪ এ কি আছে, "শিবেন বচসা ত্বা গিরিশাচ্ছা বদামসি। যথাঃ নঃ সর্বমিজ্জগদযক্ষ্মং সুমনা অসৎ।।" অর্থঃ হে গিরিশ, মঙ্গলময় স্তুতি বাক্যে তোমায় পাবার জন্য প্রার্থনা জানাই যাতে জগতের সকলে নীরোগ ও শোভনমনস্ক হয়।" এখানে উল্লেখ্য বিষয় হল, যে শৈব উপরোক্ত বর্ণিত যজুর্বেদ ১৬/৪ এ যে মন্ত্রটি বলেছেন, সেই মন্ত্র বেদে নেই। ঐ স্থানে এমন কোনো মন্ত্রের চিহ্নমাত্র নাই। তাহলে ভাবুন এই শৈবগণ কতটা মিথ্যাচার করছে বেদ নিয়ে। এবার আরেক শৈবের বেদ নিয়ে মিথ্যাচার দেখা যাকঃ এই শৈব ভ্রাতার দাবী হাস্যকর, সেটা একটু পরেই বুঝতে পারবেন পাঠকগণ। ইনি যজুর্বেদের ১৬/২ এ এটি পেয়েছেন,, "কোটিজন্মার্জিতৈঃ প্যূণ্যৈঃ শিবে ভক্তিঃ প্রজায়তে।" ----কোটিজন্মার্জিত পূণ্যের ফলে শিবে ভক্তি জ...

কল্পিত শৈব

ছবি
কল্পিত কারা শৈব্যরা নাকি বৈষ্ণবরা? উগ্রপন্থী শৈব্যরা বৈষ্ণবগণের “কল্পিত বৈষ্ণব” কথাটি বলে থাকে, তারা কোনরুপ শাস্ত্র প্রমাণ ছাড়ায় “কল্পিত বৈষ্ণব” বলে বৈষ্ণবদের উপহাস করতে থাকে। শাস্ত্রের কোথায় বৈষ্ণবদের কল্পিত বলা হয়েছে প্রমাণ চাইলে তারা দেয় না। কারণ, এই " কল্পিত বৈষ্ণব " বাক্যকে তারা হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করতে চায়। তারা এরুপ বৈষ্ণবদের কটাক্ষ করতে নানা অপপ্রচার চালায়।  অবশ্য এদের বৈষ্ণব বিদ্বেষী একটি পেজ আছে, সেটি থেকে বৈষ্ণব ➡️এবার দেখা যাক বৈষ্ণবরা কল্পিত নাকি বৈদিক? শুক্লযজুর্বেদ ৫ম অধ্যায় ২১ নং মন্ত্রে বলা হয়েছে,    “ বিষ্ণো রবাটমসি বিষ্ণোঃ শ্মপ্ত্রে স্থো বিষ্ণোঃ স্যূরসি বিষ্ণোধ্রুর্বোহসি। বৈষ্ণবমসি বিষ্ণবে ত্বা॥” অর্থ্যাৎ, হে শুদ্ধসত্ত্ব, তুমি বিষ্ণুর ললাট-স্থানীয় হও। হে জ্ঞান ও ভক্তি, তোমরা ভগবানের সাথে আমার সৎকর্মের সংযোজক হও। হে ভক্তি, তুমি বিষ্ণুর বন্ধনের কারণ হও। হে শুদ্ধসত্ত্ব, তুমি বিষ্ণুর(সর্বব্যাপক ভগবানের) সত্যরুপ হও, তুমি বিষ্ণু-সম্বন্ধীয়(বৈষ্ণব), বিষ্ণুর প্রীতির জন্য তোমাকে নিযুক্ত করছি॥ বেদে স্পষ্টভাবে বৈষ্ণবকে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে। শুক...

বেশধারী শৈব (পর্ব ২)

ছবি
 কৃষ্ণই পরমেশ্বর এবং সব কিছুর উৎস।       ইদানিং বেশ কিছু শৈবগণ অজ্ঞতার বশবর্তী হয়ে কৃষ্ণ নিন্দা করতে ব্যস্ত। তাদের প্রতিটি বাক্যের মাধ্যমে কৃষ্ণ নিন্দা লক্ষ্য করা যায়। এসকল শৈবগণ তাদের নিজস্ব পোস্ট এবং বাক্য দ্বারা কৃষ্ণ এবং কৃষ্ণ ভক্তগণের অবমাননা করে যাচ্ছে।       এসকল শৈবগণ কখনও শুদ্ধ শিব ভক্ত নয়। যারা শুদ্ধ এবং প্রকৃত শিব ভক্ত তারা কখনই কৃষ্ণ নিন্দা করে না। এরা নানা কৌশল অবলম্বন করে কৃষ্ণ নিন্দা করছে।       পূর্বের পোস্টে লিখেছি, কৃষ্ণ নিন্দা করলে নরক প্রাপ্তি ঘটবে এবং বৈষ্ণব নিন্দা বড় অপরাধ যার ক্ষমা নাই। কিন্তু এসকল শৈবগণ কৃষ্ণ নিন্দা ও বৈষ্ণব নিন্দাতে পরম তৃপ্তি লাভ করে। সুতরাং, এদের মুক্তি নাই। এদের নরক প্রাপ্তি ব্যতীত অন্য উপায় নাই।      এসকল অসাধু শৈবগণ কৃষ্ণ নিন্দা করে সকল দেবতা এবং শৈবগণের আরাধ্য শিবকেও নিন্দা করছে সেই ভেদবুদ্ধিহীন তারা। শ্রীভগবান  শ্রীমদ্ভগবদ্গীতার দশম অধ্যায়ের ২৩ নং শ্লোকে  বলছেন,          ...